মাইকিং করে সংঘর্ষের প্রস্তুতি, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় মাইকিং করে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার চারপুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী ও আকন্দ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ বিরোধের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তবে পুলিশ বলছে, ব্যক্তিগত পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে এ বিরোধের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন আগ্রাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আকন্দপাড়া এলাকায় কাঁচি প্রতীকের সমর্থক লূৎফর কাজী ও তাদের লোকজন নৌকা প্রতীকের সমর্থক আসাদুল হক আশা মেম্বারের সঙ্গে একই বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে। এরই জেরে কাঁচি প্রতীকের সমর্থক লূৎফর কাজী ও তাদের লোকজন সন্ধ্যার পর মাইকিং করে দুই এলাকার মধ্যে সংঘর্ষের ঘোষণা দেয়। আজ সকালে দুই এলাকার হাজার হাজার মানুষ লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেন।
আকন্দবাড়ি গ্রামের ডিগ্রির চর পাড়ার রুবেল মিয়া জানান, দুই গ্রামের মসজিদের মাইকে সংঘর্ষের ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, চারপুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী ও আকন্দ পাড়া এলাকার লোকজনের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিরোধপূর্ণ দুই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।