‘মনে হয়েছিল, আর মায়ের কাছে ফিরতে পারব না’
সাতটি পিকআপ ভ্যান ও দুটি ট্রাক নিয়ে পদ্মা নদীতে ‘রজনীগন্ধা’ নামের একটি ফেরিডুবে গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় সাঁতরে তীরে এসেছেন ট্রাকচালক আশিক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
আশিক বলেন, ‘আমি তুলাবোঝাই ট্রাক নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের কাছে ফেরিটি ডুবে যায়। জীবন বাঁচাতে সাঁতরে তীরে আসি। লোকজন আমাকে টেনে তুলে আগুন জ্বালিয়ে কোনো মতো রক্ষা করেন। মনে হয়েছিল, বেঁচে আর মায়ের কাছে ফিরতে পারব না। আল্লাহ রক্ষা করেছে।’
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় মাঝ নদীতে ফেরিটিকে নোঙ্গর করা হয়। পরে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে ফেরিটি পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে মালবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল পনে ৯টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি রজনীগন্ধা-৭ ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা। এরপর আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। পরে ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে আরও একটি ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থালের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।