নুরকে হাইকোর্ট /
এভাবে হলে তো বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়বে
বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। নুরের আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
নুরের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে নুরের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
গত ৭ ডিসেম্বর অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করে নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। ওই দিন দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে দলটির মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ওই সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন নুরুল হক নুর। গত ৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে তার বক্তব্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন নজরে আসার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট ১৭ ডিসেম্বর রুল জারি করে নুরকে তলব করেন। রুল অনুযায়ী নুর আজ আদালতে হাজির হন। আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য নুরের আইনজীবী সময় চেইলে আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে সময় দেন।
আদালতে নুরের আইনজীবীর ভাষ্য, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে নুরের বক্তব্য সে রকম নয়। নুর প্রতিষ্ঠানকে (বিচার বিভাগ) টাচ করার ইনটেনশন ছিলা না।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তখন আদালত বলেন, ‘আমরাও চাই ভিন্ন হোক। এভাবে হলে তো বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।’
নুরের আইনজীবী আরও বলেন, ‘(নুর) যে কনটেক্সে বলছে, সেটা তুলে ধরা হবে।’
এরপর আদালত বলেন, ‘আপনারা রাজনীতিবিদরা এমন কিছু বলবেন না যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়। এরপর আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন।’
শুনানি শেষে নুরের অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকের বলেন, ‘উনি (নুরুল হক) যে বক্তব্য দিয়েছেন আইনজীবী হিসেবে তা আমরা পেয়েছি। ভিডিওটা দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে যেভাবে বক্তব্যটা পত্রিকায় এসেছে হয়তোবা সেভাবে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মিন করেননি। ইনটেনশনটা ভিন্ন ছিল। আমরা যে রিপ্লাই দিব, আশা করি আদালত সন্তুষ্ট হবেন।’