জাতীয় সংসদে এখন ৬০০ সদস্য: জয়নুল আবেদীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১৫:৪১
শেয়ার :
জাতীয় সংসদে এখন ৬০০ সদস্য: জয়নুল আবেদীন
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদে ৩০০ সদস্য থাকার পরও আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করে আরও ৩০০ জনকে শপথ করিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন জয়নুল আবেদীন। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশকে গণতন্ত্রহীন করার জন্য ৭ জানুয়ারির অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাটের ব্যবস্থা করছে। মানুষ বলা শুরু করেছে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে সরকার, নিজেরাই তা মানে না। কারণ এখন সংসদের ৬০০ জন সংসদ সদস্য। জানুয়ারির ২৯ তারিখে এই সরকারের এমপিদের (সংসদ সদস্য) মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করে আরও ৩০০ জন এমপিকে শপথ করিয়ে নিয়েছে।’

ফারুক বলেন, ‘অতীতেও এই আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছে। ভোটবিহীন এই সরকার বারবার ক্ষমতায় এসে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে দেশে ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলাম, এখন আওয়ামী লীগ ২ লাখ পরিবার সৃষ্টি করেছে। গরিবের টাকা লুট করে বেগমপাড়া বানিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে ফেলেছ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ’১৪ ও ’১৮-এর মতো ২০২৪ সালেও আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের ব্যবহার করে আমাদেরকে দমন করে রেখেছে। জনগণ জেগেছে। জনগণের অধিকার জনগণই আদায় করে দেবে। পৃথিবীর ইতিহাসে নাই কোনো স্বৈরাচার দীর্ঘদিন থাকতে পারে।’

জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘শহীদ জিয়ার দল স্বাধীনতা এনেছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন-মরণ লড়াই করে যাবে বিএনপি। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরুকে মুক্তি দিতে হবে। আবারও প্রস্তুত হন, সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে রাস্তায় থাকব, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাব।’

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান। গণতন্ত্র ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, গণতন্ত্র ফোরাম নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ড. কাজী মনির, আব্দুল্লাহ আল নাঈম প্রমুখ।