ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু
বরগুনার বামনায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মোসা. মেঘলা আক্তার (১৯) নামে প্রসূতি এবং নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পর আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চিকিৎসা কেন্দ্রটি সিলগালা করে দেন বামনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাসান মণ্ডল।
এর আগে, গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১১টায় উপজেলার ডৌয়াতলা কলেজ রোডের ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে তাদের মৃত্যু হয়েছে। পরে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মেঘলার বাবার বাড়ি উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিঘাটা গ্রাম থেকে মা ও নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা মর্গে পাঠান বামনা থানা অফিসার ইনচার্জ তুষার কুমার মণ্ডল।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা কলেজ রোডের সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের (তারেক) স্ত্রী মেঘলাকে ভর্তি করানো হয় ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেখানকার আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সবুজ কুমার দাস মেঘলার সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করেন। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে মৃত্যু হয় প্রসূতি ও নবজাতকের।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ওই হসপিটালের চিকিৎসা পরিচালনার জন্য বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।
চিকিৎসা কেন্দ্রের মালিক মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ডাক্তার, নার্সসহ কোনো স্টাফকেই পাওয়া যায়নি।
