বিএনপি নেতা আমানসহ ৯৩ জনের বিচার শুরু
নাশকতার একটি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানসহ ৯৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হক আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের এ আদেশ দেন।
চার্জগঠন হওয়া এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও বিএনপি নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, রফিকুল আলম মজনু ও শরাফাত আলী শফু।
আজ আমানউল্লাহ আমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির পর তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যান্য আসামিরা জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত হন। এ মামলায় আমান উল্লাহ আমান জামিনে থাকলেও আরেকটি মামলা কারাগারে রয়েছেন তিনি।
রাজধানীর মতিঝিল থানার এ মামলাটি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়ের করা হয়। পরে ২০১৬ সালে বিএনপির মোট ৯৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি আমানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেম। ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। গত বছর ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুদকের মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই