আলেশা মার্ট চেয়ারম্যানের জামিন
প্রতারণার পৃথক ৯ মামলায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক দুই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মঞ্জুরুলের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সাতটি মামলায় এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব দুটি মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৯টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানামূলে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।
অভিযোগ রয়েছে, যাত্রা শুরুর পর কম মূল্যে মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা টাকা পাচার (মানি লন্ডারিং) করে।
সিআইডির দাবি, চারটি বেসরকারি ব্যাংকে আলেশা মার্টের চারটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ কেনা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে এই সম্পদ কেনা হয়।
মঞ্জুরুল আলমের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীর তথ্য তুলে ধরে সিআইডি বলছে, বেতন ও আনুষঙ্গিক বেতন মিলে মঞ্জুরের আয় ছিল ১৩ লাখ ৯০ হাজার। অথচ সাত মাসের ব্যবধানে তিনি ৩১ কোটি টাকার সম্পদ কেনেন। গ্রাহকের টাকায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় প্রায় দুই হাজার শতক জমি কিনেছেন, যার আনুমানিক মূল্য দেখানো হয়েছে ২১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার