‘সে আমাকে জড়িয়ে ধরে আদালতের বারান্দায় নিয়ে ধাক্কা দেয়’

মেহেরপুর প্রতিনিধি
১৫ জানুয়ারী ২০২৪, ১৭:২৯
শেয়ার :
‘সে আমাকে জড়িয়ে ধরে আদালতের বারান্দায় নিয়ে ধাক্কা দেয়’

যৌতুকের মামলায় হাজিরা দিতে এসে বাগ্‌বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মেহেরপুর জেলা জজ আদালত ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে সাবেক স্বামীর সঙ্গে আহত হয়েছেন এক নারী। তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন গাংনী উপজেলার শেওড়াতলা গ্রামের মামুনুর রশিদ ও তেতুলবাড়িয়া রামদেবপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে সিমা খাতুন।

জানা গেছে, ১২ বছর আগে গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের মামুনুর রশিদের সঙ্গে বিয়ে হয় সিমা খাতুনের। নানা কারণে সংসার জীবন ভালো না যাওয়ায় বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর মেহেরপুর জেলা জজ পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ দাবি করে একটি মামলা করেন সিমা খাতুন। দুই পরিবারের সমঝোতায় মামলাটি মীমাংসা করা হয়। আজ দুপুরে ভরণপোষণের টাকা দেওয়ার দিন ছিল।

পারিবারিক আদালতে মামলার মীমাংসা শেষে জেলা জজ আদালতের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে বাদীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। এ সময় বাঁচার জন্য মামুনের জামা চেপে ধরেন সিমা। একপর্যায়ে দুজনই পড়ে যান। আদালতে উপস্থিত লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘টাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সে (সাবেক স্বামী) আমাকে জড়িয়ে ধরে আদালতের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এ সময় আমি বারান্দার লোহার রেলিংয়ের ওপর দিয়ে নিচে পড়ে যাওয়ার সময় তার জামা ধরলে সেও আমার সঙ্গে তিন তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে আদালতে থাকা লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এতে আমার বাম হাত ভেঙে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে।’

সাবেক স্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে মামুনুর রশিদবলেন, ভরণপোষণের টাকা দিয়ে আদালত থেকে বের হলে সিমা তাকে ধাক্কা দেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, ‘ওই দম্পতিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এক্স-রেসহ কয়েকটি পরীক্ষা করিয়ে আনতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট দেখার পর হাড় ভেঙেছে কি না, নিশ্চিত হওয়া যাবে। আপাতত দুজনই সুস্থ আছেন।’