ক্ষমা চেয়ে ধর্মমন্ত্রী বললেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ আসনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ব্যাখ্যা দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। আজ সোমবার বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সংবিধান রেখেছে আইন রেখেছে। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতএব বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন আমাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছে। আমি উপস্থিত হয়েছি, আমার কথা বলেছি। আমার বিশ্বাস মেজর কোনো অপরাধ যদিও বা না থাকে তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি।’
ইসি কী বলেছে, তা জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘কমিশন বলেছে বিষয়টি দেখবে।’
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক বলেন, ‘না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।’
গত ১১ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে জামালপুর-২ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট প্রদানের খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৮৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনী অপরাধ উল্লেখ করে ইসি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে জামালপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে তলব করা হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার