জরায়ুমুখের ক্যানসার সচেতনতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জানুয়ারী ২০২৪, ২১:৫৪
শেয়ার :
জরায়ুমুখের ক্যানসার সচেতনতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জানুয়ারি মাসকে সচেতনতা মাস হিসেবে পালনের পাশাপাশি ২০১৮ সাল থেকে জানুয়ারির দ্বিতীয় শনিবার বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে জরায়ুমুখের ক্যানাসর সচেতনতা দিবস পালন করে আসছে মার্চ ফর মাদার (জননীর জন্য পদযাত্রা) নামের এক প্ল্যাটফর্ম। আজ শনিবার ষষ্ঠবারের মতো এই দিবস উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে আলোচনা, প্রতীকী পদযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর ক্যানসার কন্ট্রোল-ইউআইসিসি’র সদস্য কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ও ‘জননীর জন্য পদযাত্রা’ নামের মোর্চার যৌথ উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ বিকেল ৩টায় লালমাটিয়ায় কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারের অধ্যাপক আব্দুল হাই মিলনায়তনে ‘জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্মূলে বৈশ্বিক কৌশল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তব্য দেন মার্চ ফর মাদার মোর্চার প্রধান সমন্বয়কারী ক্যানসার রোগতত্ত্ববিদ ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। 

প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. তাজুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল, সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও আরবান হেলথ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম মজুমদারসহ অনেকে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ক্যানসারে দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ অস্বচ্ছল ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দুঃসাধ্য। বেসরকারি হাসপাতাল অর্থনৈতিক নাগালের বাইরে। রাজধানীকেন্দ্রিক সরকারি চিকিৎসা তেমনিভাবে ভৌগোলিক নাগালের বাইরে। সারাদেশ থেকে আগত বিপুল সংখ্যক ক্যানসার রোগীর দীর্ঘ অপেক্ষমান তালিকা তো আছেই।

তারা বলেন, আশার কথা, আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, একনেকে অনুমোদিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত ক্যানসার প্রতিরোধ ও গবেষণাসহ ক্যানসারের সাতটি বিশেষায়িত বিভাগ এখানে চালু হলে সেবা সাধারণ মানুষের নাগালে আনার একটি ধাপ অগ্রসর হবে।

জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্মূলের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ দেশের সার্বিক ক্যানসার সেবা উন্নয়ন সুষম ও সর্বজনীন করতে ব্যাপক আলোচনা, পর্যালোচনা, সব অংশীজনের অংশগ্রহণ ও চলমান কার্যক্রমকে একটি জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এনে ঢেলে সাজানো দরকার বলেও মত দেন বক্তারা।