ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে অধিদপ্তর
সুন্নাতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর পর বেরিয়ে আসছে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নানা অনিয়মের চিত্র। যেকোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু ইউনাইটেড হাসপাতাল কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান এসব কথা জানিয়েছেন।
অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই আমরা ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে অবশ্যই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।’
তিনি বলেন, ‘ইউনাইটেড মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নিবন্ধনের আবেদন করেছে। কিন্তু তাদের আবেদন ত্রুটিযুক্ত। তাদেরকে আবারও যথাযথভাবে আবেদন করতে হবে। কিন্তু এখন যেহেতু নিবন্ধন নেই, তাদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালানোর কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর আগে সকালে অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছে আয়ানের পরিবার ও স্বজনরা। এ সময় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. সাঈদ সাব্বির ও ডা. তাসনুভা মাহজাবিনের আটকসহ ৬ দফা দাবি জানানো হয়।
জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর সকালে উনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আয়ানকে সুন্নতে খতনা করাতে নিয়ে যায় তার পরিবার। ওই দিনই সকালে ডাক্তারদের পরামর্শে আয়ানকে অ্যানেসথিসিয়া দিয়ে খতনা করা হয়। সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তার বাবা জোর করে অস্ত্রোপচার কক্ষে ঢুকে দেখেন আয়ানকে সিপিআর (কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার প্রক্রিয়া) দেওয়া হচ্ছে। আর বুকের দুই পাশে ছিদ্র করা এবং বুকের ভেতরে পাইপ ঢুকানো। এরপর আয়ানের অবস্থা আরও গুরুতর হয়।
পরে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের গাড়িতে করেই গুলশান-২ এ ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ৮ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৭ জানুয়ারি রাত ১১টা ২০ মিনিটে আয়ানকে ‘ক্লিনিক্যাল ডেথ’ ঘোষণা করা হয়। পরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয় ছয় বছরের আয়নকে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?