নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন ১৪০০ অতিথি

অনলাইন ডেস্ক
১১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:০১
শেয়ার :
নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন ১৪০০ অতিথি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে। শপথের পর তাদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

জানা গেছে, বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। 

শপথ অনুষ্ঠানে ঢাকায় বিদেশি কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে প্রায় এক হাজার ৪০০ অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভার ৩০ জন স্থান পাননি নতুন মন্ত্রিসভায়। আর প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছেন ১৪ জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভায় সদস্য থাকছেন আরও ৩৬ জন। তার মধ্যে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ থেকে ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠিত হচ্ছে। নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন তাদেরকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে টেলিফোন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ নেন।বিজয়ী দলের নেতা জাতীয় সংসদের নেতা নির্বাচিত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। এদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি সারাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে ২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন, জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। 

আর মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে একটি করে আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমও কক্সবাজারের একটি আসন থেকে জয় পেয়েছেন।