নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
১০ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:২৯
শেয়ার :
নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

সুনামগঞ্জ-৫ আসনের (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) দোয়ারাবাজার উপজেলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ নেতা শামিম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

আহত দুই সাংবাদিক হলেন- দৈনিক আমাদেরসময় -এর উপজেলা প্রতিনিধি আশিক মিয়া ও দৈনিক সংগ্রামের উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা। আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।

আহতদের মধ্যে আবুল মিয়া (৩৬), আশিক মিয়া (৪২), মাসুদ রানা (২৫), জাবেদ আহমদ (২৩), গিয়াস উদ্দিনকে (৩০) বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভোটগ্রহণের দিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শামিম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে উপজেলা সদরের মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েক জন আহত হন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষের সমর্থকেরা হলেন স্থানীয় নৈনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল খালেক। অন্যপক্ষ হলো স্বতন্ত্র প্রার্থী শামিম আহমদ চৌধুরীর সমর্থক মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সমর্থক আমরু মিয়া।

নির্বাচনের দিনের ওই ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর জেরে বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরে বাসায় যাওয়ার সময় আবুদল খালেকের ছেলে আবুল মিয়ার ওপর হামলা চালান প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

সাংবাদিক মাসুদ রানা বলেন, ভিডিও ধারণের সময় পুলিশ তাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং মোবাইল ভেঙে ফেলে।

সাংবাদিক আশিক মিয়া আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেকের ছোট ভাই। আশিক মিয়া বলেন, ‘আমার ভাতিজা আবুল মিয়ার ওপর হামলাকারী প্রতিপক্ষের একজনের হাতে পিস্তল ছিল। হামলার সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমি হামলার শিকার হয়েছি।’

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রাজন কুমার দাস বলেন, ‘বিরোধের জের ধরে দোয়ারাবাজারে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এছাড়া কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।