গাজায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্র
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। তিনি বলেন, উত্তর গাজায় ইসরায়েলের সেনা অভিযান সমাপ্তির পথে। সেখানে যেন গৃহহীন মানুষ ফিরে যেতে পারে সেজন্য জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দলের যাওয়া প্রয়োজন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি।
বেসামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। ২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়। দুই দফায় বাড়া সেই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
মঙ্গলবার তেল আবিভে সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেন, উত্তর গাজায় যাতে গৃহহীন মানুষ ফিরে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সে কারণেই দ্রুত সেখানে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দলের যাওয়া দরকার। তারা গিয়ে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে পারবে। তাদের দেয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে গৃহহীনদের ফের উত্তর গাজায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান ধীরে ধীরে কমাতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে স্থানীয় মানুষের মানবিক সাহায্যের দিকে। তার কথায়, ‘আরও ওষুধ, আরো পানি, আরও খাবার, আরো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য গাজায় পাঠাতে হবে।’ মানবিক সাহায্য গাজায় ঠিক মতো ঢোকার পর তা সকলের মধ্যে সমানভাবে বন্টন হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের ফলে প্রতিদিন অসংখ্য বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। লক্ষ্যণীয়, এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ শিশু আছে। অবিলম্বে এই সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে গৃহহীন মানুষকে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ঘরহারা মানুষদের গাজাতেই ফের বসতি গড়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।