আনুষ্ঠানিকভাবে উষ্ণতম বছরের স্বীকৃতি পেল ২০২৩
বিশ্বের উষ্ণতম বছরের সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ২০২৩ সাল। গতকাল মঙ্গলবার এই রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (থ্রিসিএস)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সংস্থাটি জানায়, পৃথিবী নামক এই গ্রহের সবচেয়ে উষ্ণতম এবং সম্ভবত গত এক লাখ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৩ সালকে ইতিহাসের উষ্ণতম বছর ঘেোষণা করলো থ্রিসিএস।
১৮৫০ থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। মানুষের কার্যকলাপের ফলে ধারাবাহিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের সঙ্গে যোগ হয়েছে এল নিনো। আবহাওয়ার এই বিশেষ ধরনটির কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশের উপরিতলের পানি উষ্ণ হয়ে উঠেছে। যার প্রভাব পড়েছে পুরো পৃথিবীতে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
গত বছরের জুলাই মাস থেকে প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড দেখতে থাকে বিশ^বাসী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের গড় তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, মাসটির গড় তাপমাত্রা অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে প্রতিদিনের গড় তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ১৬ দশমিক ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থনৈতিক পরিণতিও নেতিবাচক হারে বাড়ছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল ইনফরমেশন ডাটা দেখায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে ২৫টি জলবায়ু এবং আবহাওয়ার বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে, যার ক্ষতি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী খরা আর্জেন্টিনায় সয়াবিনের ফলন ব্যাহত করেছে এবং স্পেনে গম নষ্ট করেছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস