সাতক্ষীরার চারটি আসনে জামানত হারালেন ২৩ প্রার্থী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
০৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৯:১৪
শেয়ার :
সাতক্ষীরার চারটি আসনে জামানত হারালেন ২৩ প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ২৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া সাবেক দুজন সংসদ সদস্যসহ জাতীয় পার্টির তিন প্রার্থী রয়েছেন।

তথ্য মতে, নির্বাচনে সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে ১০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ২২ জন এবং ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে সাতক্ষীরা-১ আসনে ১০ জন, সাতক্ষীরা-২ আসনে ৭ জন, সাতক্ষীরা-৩ আসনে ৬ জন এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে ৭জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সাতক্ষীরা-১ আসন থেকে অংশ নেওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান নির্ধারিত দিনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলেও পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। যে কারণে তাদের নাম ও প্রতীক ব্যালোটে থেকে যায়।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনো প্রার্থী তার আসনে পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পান, তখন তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে ৪৩১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী ইয়ারুল ইসলাম ৮৩৫ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী শেখ মো. আলমগীর ২৩৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আশ প্রতীকের প্রার্থী সুমি ইসলাম ৪৪২ ভোট, স্বতন্ত্র দোলনা প্রতীকের প্রার্থী এস এম মুজিবুর রহমান ওরফে সরদার মুজিব ১৫ হাজার ৭০৮ ভোট, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম ২০৮ ভোট, স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী শেখ নুরুল ইসলাম ৫ হাজার ৯৪৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ৩৫৩ ভোট পেয়ে তাদের জামানত হারিয়েছেন।

এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮২১ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩ জন।

সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর ও পৌরসভা) আসনে ন্যাশনাল পিপিলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন ৯৩৮ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান বুলু ৭২৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা ফারহান মেহেদী ৩০৩ ভোট, স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী এনছান বাহার বুলবুল ৪৮০ ভোট এবং স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মো. আফসার আলী পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৪ ভোট।

এই আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. আশরাফুজ্জামান আশু ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬০৮ জন।

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-দেবহাটা ও কালিগঞ্জের আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. আলিপ হোসেন ১২ হাজার ৪৭৩ ভোট, ন্যাশনাল পিপিলস পার্টি (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ ৪ হাজার ১৮৩ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. মঞ্জুর হোসেন ১ হাজার ৮৫৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী রুবেল হোসেন ৮৪৭ ভোট এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) এর চাকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ তরিকুল ইসলাম ৭৭৮ ভোট পেয়ে তাদের জামানত হারিয়েছেন।

এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ.ফ.ম রুহুল হক ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মত জয়ী হয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩১ হাজার ৩৮০ জন।

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জের আংশিক) নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল বিএনপির সোনালী আশ প্রতীকের আসলাম আল মেহেদী ৫০৯ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহবুবর রহমান ৩ হাজার ৩৩৯ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম ১ হাজার ৩২ ভোট, ন্যাশনাল পিপিলস পার্টি (এনপিপি) এর আম প্রতীকের প্রার্থী শেখ ইকরামুল ৪৯৩ ভোট ও স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ৫৮২ ভোট পেয়ে তাদের জামানত হারিয়েছেন।

এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস.এম আতাউল হক দোলন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৯৩ জন।