মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে বলে জানালেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন আজ সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে গণভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি প্রধান বিরোধীদলকে ২০১৮ সালের পর থেকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেননি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত করা হয়েছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা আপনার সরকারের সমালোচনা করছেন। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে, যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই?’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। সেখানে যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই না যে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে মানুষ অংশ নিয়েছেন কি না।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিবিসির সাংবাদিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি যে দলের (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা আগুন দেয়, মানুষ হত্যা করে। কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। এটা কি গণতন্ত্র? এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে।’
বিরোধীদলবিহীন নির্বাচন এবং অর্ধেকের কম ভোট পড়া নিয়ে করা অপর প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যদি এখানে গণতন্ত্রের আর কোনো সংজ্ঞা থাকে, সেটা ভিন্ন। মানুষের অংশগ্রহণই বড় কথা।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মানুষকে এ নির্বাচনে ভোট না দিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মানুষ তাদের কথা শোনেননি।’