ভোট নিয়ে ডলি সায়ন্তনীর অভিযোগ
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বিভিন্ন কেন্দ্রে জোরপূর্বক নৌকায় ভোট নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনএম প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। এ সময় তিনি গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে জানান, কেন্দ্রটিতে সকাল ১০টার মধ্যেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে গেছে।
এদিকে, কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডলি বলেন, ‘প্রথমেই আমার চিন্তাধারা ছিল এবার অবশ্যই একটি ফেয়ার নির্বাচন হবে। এটা আমাদের সবার ধারণাও ছিল। কিন্তু যখন আমি প্রতিটি কেন্দ্রে যাচ্ছি, কোনো কেন্দ্রে এমনও আছে যে মাঠ থেকে আপনার ভোটটা হয়ে যাচ্ছে। নৌকা মার্কায় জোর করে বলা হচ্ছে যে, এখানে গিয়ে ভোটটা দিয়ে আসো। নিয়ম বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার। সেই ভোট যদি মাঠেই হয়ে যায়! তাহলে সে কী ফেয়ার ইলেকশন হয় কখনও?’
ডলি সায়ন্তনী আরও বলেন, ‘আরেক জায়গায় গেলাম, বুথের পাশেই নৌকার এজেন্ট আছে ওখানে ছবি ও নম্বরসহ, তখন আমি নিজেই ওকে ধরেছি। টোকেনগুলি সব নিচে পড়ে আছে। তাহলে এখানে কোথায় ফেয়ার ইলেকশন হলো। আর এটা যদি ফেয়ার ইলেকশন হয় তাহলে আমার বলার কিছু নাই।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে অভিযোগ করেন ডলি সায়ন্তনী। এ সময় তিনি গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, কেন্দ্রটিতে সকাল ১০টার মধ্যেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে গেছে।
লাইভে ডলি সায়ন্তনীর সঙ্গে অপর এক ব্যক্তি জোরপূর্বক ভোট নেবার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘ভোটারদের হাতে নৌকা প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত কাগজ দেয়া হচ্ছে। ভোটাররা সেই কাগজ হাতে কেন্দ্রে আসছেন। কেন্দ্র থেকে স্থানীয় গ্রাম প্রধানরা তাদের নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। একইসঙ্গে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে বলছেন।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
লাইভে ডলি সায়ন্তনী এমন ভোট বন্ধ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসঙ্গে যে সকল কেন্দ্রে এভাবে ভোট নেওয়া হয়েছে, সেসব কেন্দ্রগুলো বন্ধের দাবিও করেন তিনি।
ডলি সায়ন্তনীর কথায়, অধিকাংশ কেন্দ্রেই জোরপূর্বক ভোট নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আহম্মেদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘আন্দাজে এমন অভিযোগ দিলে চলবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। কোনো কেন্দ্রেই জোরপূর্বক ভোট নেওয়া হচ্ছে না। আর জোরপূর্বক ভোটের অভিযোগ করলে সেটা আমার দিকে নয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।’