বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন, এক জেলার তিন যাত্রী নিখোঁজ
ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় রাজবাড়ীর তিন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে তারা ঢাকার উদ্দেশে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করেন।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন এলিনা ইয়াসমিন (৪০), আবু তালহা (২৪) ও চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৪)। এলিনা রাজবাড়ী শহরের নূরপুর গ্রামের সাইদুর রহমান বাবুর মেয়ে, আবু তালহা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের আবদুল হক মণ্ডলের ছেলে ও চন্দ্রিমা রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন প্রামাণিকের মেয়ে।
এলিনার ভাই মুরাদ হোসেন জানান, এলিনা ১০ দিন আগে তার বাবার মৃত্যুতে বাড়ি আসে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় ফিরছিলেন। তার পাঁচ মাসের সন্তানকে পাওয়া গেছে। কিন্তু এলিনা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আবু তালহার ভাই রিপন মাহমুদ জানান, তার দুই চাচাতো ভাই আবু তালহা ও আবু তাসলাম ঢাকা যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর আবু তাসলাম ট্রেন থেকে নেমে যেতে পারলেও আবু তালহাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
চন্দ্রিমার ভাই শোভন প্রামাণিক বলেন, তার ছোট বোন একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ফার্মাসিস্ট বিভাগে পড়াশোখা করেন। তাদের সঙ্গেই ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন। কয়েক দিন আগে বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর বেনাপোল এক্সপ্রেসের ‘চ’ নম্বর বগিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। দুর্ঘটনার পর থেকে চন্দ্রিমা নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে কোথায়ও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজবাড়ীর স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান বলেন, যশোর থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রাজবাড়ীর স্টেশন থেকে প্রায় ৬৫ জন যাত্রী এ ট্রেনে গিয়েছিল।