রাজশাহী-৪ আসন /
নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার নির্দেশ ইসির
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল শুক্রবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম এক চিঠিতে বাগমারা থানায় মামলা করার জন্য এ নির্দেশনা দেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ গত ২৬ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হককে উদ্দেশ্য করে প্রাণনাশের হুমকি, অশ্লীল ভাষায় বক্তব্য এবং নৌকার বাইরে কোনো মাস্তানি চলবে না বলে বিভিন্ন প্রকার আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য দিয়ে কালাম গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ ও ৮৪ক এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১ (ক), (গ) ও (ঙ) বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি ইসিতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ কারণে ইসি এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চিঠির এই অনুলিপি রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে এজাহারের অনুলিপিসহ তা ইসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠির অনুলিপি রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
তবে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ইসির নির্দেশনার বিষয় তিনি জানেন না। শুক্রবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনো মামলাও হয়নি।
রাজশাহী-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করছেন।
আর এ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক ২০০৮ সাল থেকেই এলাকার সংসদ সদস্য। পর পর তিনটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও এবার মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক।
আবুল কালাম আজাদ মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই সভা-সমাবেশে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার মিছিলে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কালামের বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তাকে বেশ কয়েকবার কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় এ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। তারপরেও তিনি সংযত হননি। শেষে গত সোমবার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিতে সুপারিশ করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।