স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফরের বিরুদ্ধে নানা বিতর্কের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জানুয়ারী ২০২৪, ১৯:০৮
শেয়ার :
স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফরের বিরুদ্ধে নানা বিতর্কের অভিযোগ

কক্সবাজার-১ আসনের (চকরিয়া ও পেকুয়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়ম ও বির্তকিত কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। তার দীর্ঘদিনের জুলুম-অনাচারের ভুক্তভোগী নির্বাচনীয় এলাকার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, এমপি জাফর আলমের পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে ১০ দশমিক ৩৭ গুণ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের বিরুদ্ধে সরকারি বনভূমি দখল, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখলসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ১৫ আগস্ট প্রয়াত জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত বছর আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলেও এবার দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। ফলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন তিনি।

স্থানীয় প্রশাসন ও জনগন জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে জাফর আলমের সম্পদ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বেড়েছে স্ত্রী ও পুত্রের সম্পদও। তার ভাতিজা জিয়াবুল হক ও ভাগিনা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনীর নেতৃত্বে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করছেন। জাফর আলম গত ১৯ ডিসেম্বর পেকুয়ার একটি নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সমালোচনায় তার চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতিও পান।

দুদকের একটি সূত্র বলছে, জাফর আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারি জমি ও জলমহাল দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু বিক্রি এবং নামে-বেনামে জমি কিনে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া চকরিয়া ও পেকুয়ায় তিনটি মার্কেট রয়েছে তার, গাড়ি রয়েছে কয়েকটি। সব মিলিয়ে প্রায় শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি।

হলফনামার তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার সময় তার বার্ষিক আয়, অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৯৩ টাকা। যেখানে তার নিজের নামে ছিল ৯৭ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৩ টাকার সম্পদ আর স্ত্রীর নামে ছিল ৬২ হাজার ৪০ টাকার ৫০০ টাকার সম্পদ। যৌথ মালিকানা বা তার আয়ের ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় ছিল না। ২০২৩ সালে এসে তার বার্ষিক আয়, অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৫ টাকা। যেখানে রয়েছে তার নিজের নামে ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯ টাকার সম্পদ। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ২৫৪ টাকা, যৌথ মালিকানায় রয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩৫৭ টাকা এবং তার আয়ের ওপর নির্ভরশীলদের রয়েছে ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৬০৩ টাকার সম্পদ। এমপি জাফর আলমের পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে ১০ দশমিক ৩৭ গুণ।