আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চিরতরে বিএনপিকে লাল কার্ড দেখানো হবে। বিএনপি অপেক্ষায় আছে আটলান্টিকের ওপার থেকে (আমেরিকা) নিষেধাজ্ঞা আসবে। ভুয়া, ভুয়া। শেখ হাসিনা ভিসানীতির তোয়াক্কা করেন না। শেখ হাসিনা আটলান্টিকের ওপারের নিষেধাজ্ঞাকে ভয় পান না। তিনি ভয় পান একমাত্র সৃষ্টিকর্তাকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগণকে। বাংলাদেশের মাটি ও জনগণ আমাদের শক্তির উৎস। কোনো বিদেশি শক্তির হুমকি-ধামকি আমরা পরোয়া করি না। এটা শেখ হাসিনার কথা।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উদ্বোধক হিসেবে এমন মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন বছরের উপহার হিসেবে ১ কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিবছর ২০ লাখ করে পাঁচবছরে ১ কোটি যুবকের কর্মসংস্থান করা হবে। এটা নতুন ভোটারদের জন্য শেখ হাসিনার উপহার।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্ররাজনীতিকে সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে আকর্ষণীয় করতে হবে। আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুধু ছাত্রলীগ থাকবে, সাধারণ শিক্ষার্থী থাকবে না। সেটা অর্থহীন। ছাত্ররাজনীতিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আকর্ষণীয় করতে মেধা, সাহসে, পড়াশোনায়, চলাফেরায়, পোশাক পরিচ্ছদে স্মার্ট হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গৎবাঁধা মুখস্থ বক্তৃতা দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হলে নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করতে হবে। 'স্মার্ট' মানেই ভাষণ দেওয়া নয়। গতানুগতিক ভাষণ দিলাম এবং ১৯৪৮ থেকে শুরু করলাম। এখন এটা আর কেউ শুনে না। কথা বলতে হবে স্মার্টলি। বুঝতে হবে চোখের ও মনের ভাষা। যেই কথা নেতৃত্ব দিবে এবং যেই কথা কর্তৃত্ব দিবে। সেটিই হলো বক্তৃতা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
রাজনীতিতে সৎ ও মেধাবীদের আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বুঝাতে হবে এই দেশ ভালো লোকদের হাতে থাকলে ভালো হবে। খারাপ লোকদের হাতে থাকলে অথবা ভালো লোকেরা রাজনীতিতে না আসলে রাজনীতি মূল্যহীন হয়ে যাবে। রাজনীতিতে মেধাবীদের আসতে হবে। তা না হলে দেশের রাজনীতি মেধা শূন্য হয়ে যাবে। ভালো লোক আসলে দেশ ভালো চলবে। খারাপ লোকের হাতে দেশের দুঃশাসন অনিবার্য।
এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সমাবেশ শেষে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ছাত্রলীগ। শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল থেকে নাঈটিঙ্গেল মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে গুলিস্তানে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।