আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার শুনানি শুরু হচ্ছে
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে শুনানি শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। গত ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ এই মামলাটি দায়ের করেছিল আফ্রিকা। আইসিজের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১১ এবং ১২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায় জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল।
২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়। দুই দফায় বাড়া সেই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
চলমান এই হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষিতে গণহত্যার অভিযোগ এনে গত বছর ২২ ডিসেম্বর মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আবেদন করার সময় আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে তারা জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী আন্তর্জাতিক অপরাধ, যেমন—মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ, এর পাশাপাশি গণহত্যা বা এ সম্পর্কিত অপরাধের সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের এই আচরণ গণহত্যামূলক। কারণ তারা ফিলিস্তিনি জাতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়েই হামলা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
গত ৩০ তারিখ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আইসিজেকে দ্রুত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই ১১ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইসিজে। পাশাপাশি শুনানিতে উপস্থিত থাকতে ইসরায়েলকে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য সমনও পাঠিয়েছে জাতিসংঘের আদালত।
এর প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে ইসরায়েলি মিশনের জানায়, ‘এই মামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলের মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে এবং ইসরয়েল অবশ্যই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেবে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস