গৃহস্থের গরু চুরি করে ছাদে জবাই, হাতেনাতে ধরা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র গৃহস্থের গরু চুরির পর জবাই করে বাসার ছাদে মাংস ভাগ করছিলেন। এ সময় ২৫ কেজি মাংসসহ আবদুল্লাহ আল মারুফ (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার মারুফকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পৌর শহরের থানাপাড়া মহল্লার মৃত মন্নান হোসেনের ছেলে মারুফ।
গরুর মালিক সবুজ নগর মহল্লার লাভলু মিয়া বাদী হয়ে গ্রেপ্তার মারুফ, তার স্ত্রী রেহানা পারভীন সোনিয়া এবং শহীদুল আসলাম ওরফে কসাই শহীদকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকালে গরুর মালিক লাভলু মিয়া তার অস্ট্রেলিয়ান জাতের ১০ মাস বয়সী একটি বকনা বাছুরকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে বেঁধে রাখেন। বিকেলে তিনি গরু আনতে গিয়ে দেখেন গরুটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গরু হারানোর জন্য মাইকিং করেন। তার মাইকিং শুনে এক ব্যক্তি লাভলুকে জানান হারানো গরুটি শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আল মারুফের বাসার সামনে বাঁধা অবস্থায় দেখেছেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে ওই বাসার ছাদে উঠে দেখেন তিনজন মিলে গরু কেটে মাংস ভাগ করছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চোরাই গরুর মাংস উদ্ধার করে এবং বাসার মালিককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ আসার আগেই গৃহকর্তার স্ত্রী ও কসাই পালিয়ে যায়।
গরুর মালিক লাভলু মিয়া জানান, অস্ট্রেলিয়ান জাতের এ গরুটি তার মা অনেক শখ করে কিনে লালন পালন করছিলেন। গরুটির আনুমানিক মূল্য ৮০ হাজার টাকা। মায়ের শখের গরুটি হারিয়ে পরিবারের সবাই মর্মাহত।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চোরাই গরুর মাংসসহ বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত তিন জনের নামে ভুক্তভোগী পরিবার একটি মামলা দায়ের করেছেন। জড়িত অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
