ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত

অনলাইন ডেস্ক
০৩ জানুয়ারী ২০২৪, ০৯:১৬
শেয়ার :
ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত

পৌষের শেষ ভাগে এসে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন প্রায় স্থবির। ওই অঞ্চলের কয়েকটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ বুধবার সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। দিনে কুয়াশা কমে রোদের দেখা পাওয়া গেলেও সন্ধ্যার পর শীত আরও বাড়তে পারে। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

এদিকে দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা কমে ও কুয়াশা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেছে। এতে শীতের অনুভূতি ও কষ্ট বেড়ে গেছে। কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে চলাচলে দূরের জিনিস কম দেখা যাচ্ছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। উড়োজাহাজ চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। 

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস হওয়ায় শীতকালের চরিত্র মেনেই ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি মাসে শীতের অনুভূতি বাড়বে। আবহাওয়ার বিশেষ ধরন এল নিনোর প্রভাবে এই মাসেও শীত স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের তাপমাত্রা কমেছে। এতে ঢাকাসহ সারা দেশেই শীতার্ত অনুভূতি বেড়েছে। এ সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া বিশ্লেষকেরা।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘কুয়াশা বেশি থাকলে দিনের তাপমাত্রা কমে যায়। তবে রাতের তাপমাত্রা সেই তুলনায় কম হ্রাস পায়। এই কুয়াশাভাব কাটতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই মাসে শৈত্যপ্রবাহ হবে। তবে এল নিনোর প্রভাবে এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান জানান, পৌষের এই সময়ে দেশের উত্তর, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং কোথাও হালকা মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া, রাতভর বৃষ্টির মতো ঝড়তে থাকা ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৭ ডিগ্রির ঘরে। পাশাপাশি রাতে অনবরত ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল মানুষ। 

আজ বুধবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায়, ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রোকনউজ্জামান জানিয়েছেন, তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। অন্যদিকে অব্যাহত শীতে দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন।