আওয়ামী লীগের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না বলে জানালেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই, চুরির প্রয়োজন হয় না। তারা (জিয়া-এরশাদ) ভোট চুরি করেছে। এটা আমার কথা না, হাইকোর্টের রায় আছে— জিয়ার ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ।’
তিনি বলেন, ‘৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে। মানুষের ভাগ্য গড়েনি, এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। যে ‘‘জয় বাংলা’’ স্লোগানে দেশের মানুষ তাজা রক্ত দিয়েছিল, সেটিও নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।’
স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি। আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি, হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাব, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘একটা প্রত্যয় ছিল, সবার মুখে খাদ্য তুলে দেব। কেউ গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না। সবাইকে উন্নত জীবন দেব। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ শুরুও করেছিলাম। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তবে তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট) দুর্নীতির কারণে ২০০৮ সালে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা ২৩৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালে আগুনে মানুষ পুড়িয়েছে, কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তারেক জিয়া দেয় নমিনেশন, গুলশান থেকে ফখরুল দেয় নমিনেশন, পল্টন অফিস থেকে রিজভী দেয়। ওইভাবে নমিনেশন বিক্রির ফলে তাদের নির্বাচন ভেস্তে যায়। দোষ দেয় আমাদের ওপর।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আজ বিকেল সোয়া ৩টায় জনসভাস্থলে হাজির হন শেখ হাসিনা। তিনি জনসভাস্থলে পৌঁছালে স্লোগান স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান পৃথকভাবে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় জনসভা। এতে ঢাকার সংসদীয় আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অংশ নেন। এতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।