দুর্নীতি করেছি প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব: ভূমিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫১
শেয়ার :
দুর্নীতি করেছি প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব: ভূমিমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, ‘আমার ১০ বছরের মন্ত্রীত্বকালীন সময়ে এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণ কেউ করতে পারবে না। প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান, ব্যবসা করেছি।’

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি রাজনীতিতে এসেছি। কোনো প্রার্থীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। সব প্রার্থী নিজেদের মতো প্রচারণা চালাবে। আমার বাবা দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। আল্লাহর হুকুম ছিল না, নানা কারণে বাবা মন্ত্রী হতে পারেননি। কিন্তু আনোয়ারার মানুষের আশা ছিল বাবু মিয়া (আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু) মন্ত্রী হবেন। সেই আশা আমার মাধ্যমে আল্লাহ পূরণ করেছেন। দুইবার মন্ত্রী হয়েছি বলে দেশের কাজ অনেক বেশি করতে পেরেছি। সততার সঙ্গে কাজ করেছি। আমার সততা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এটা ওপেন চ্যালেঞ্জ।’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘একসময় বিএনপি বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইসলাম চলে যাবে, আজান চলে যাবে। তাদের এসব মিথ্যা প্রমাণিত হলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু করেছে। দেশে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সেটা বিশ্ব মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। এটা বেশি দিন থাকবে না। আগামী দিনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দ্রব্যমূল্য কমে যাবে—এটায় আস্থা রাখেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি লন্ডনে বসে অসহযোগের ডাক দিল, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে। এসব কার স্বার্থে? তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার একটাই দাবি, তাদের প্রথম ভোট যেন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নৌকা মার্কায় হয়।’

জুইঁদণ্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল জলিল আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা বাহা উদ্দিন খালেদ শাহাজী, জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী, চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব রিদুয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর উদ্দিন চৌধুরী ভিপি, যুগ্ম সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন, সাংগঠনেক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, সগীর আজাদ, এম এ মালেক, চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম শাহ, আসিম কুমার দেব, মাস্টার মোহাম্মদ ইদ্রীস, রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী রাশেল, মাহফুজুর রহমান চৌধুরীসহ আরও অনেকে।