সাংবাদিকদের ওপর নজর রাখতে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করছে ভারত
ভারতে প্রথিতযশা সাংবাদিকদের ওপর নজর রাখতে পেগাসাস স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম দি ওয়াশিংটন পোস্টের এক অনুসন্ধান থেকে এই তথ্য বের হয়ে এসেছে।
ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের এই সফটওয়্যার বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সরকার কিনেছে। এই স্পাইওয়্যারের সাহায্যে কোনো ব্যক্তির ফোনের মেসেজ, ইমেইল, ছবি, কল রেকর্ডিং, অবস্থান এবং এমনকি ক্যামেরারও একসেস নেওয়া যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইপি অ্যাড্রেস ও ডোমেইন নেমের সাহায্যে এই স্পাইওয়্যার অবস্থান নির্দেশ করে থাকে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
২০১৬ সালে পেগাসাসের এক প্রতিদ্বন্দ্বী একজন ব্যবহারকারীর হ্যান্ডবুক প্রকাশ করে। এরপর থেকে পেগাসাস নিয়ে সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত অনেক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, দি ওয়্যার এর সাংবাদিক সিদ্ধার্ত বড়দড়াজন ও দ্য অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট এর আনন্দ মাগনালের ওপর নজরদারি রাখা হয়েছিল। তাদের আইফোনের ওপর স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে এই নজরদারি করে সরকার।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
অ্যামনেস্টির ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ল্যাবের প্রধান ডনচা ও কিয়ারহেল বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক ফলে দেখা যাচ্ছে যে ভারতীয় সাংবাদিকরা নিজেদের কাজ করার জন্য অবৈধ নজরদারির শিকার। এ ছাড়া হুমকি ও হয়রানিসহ অন্যান্য নিপীড়নের হাতিয়ারও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই প্রতিবেদন নিয়ে ভারত সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। এর আগে ২০২১ সালে এমন একটি অভিযোগ উঠলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছিল ভারত। সেসময় বলা হয়েছিল বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর পেগাসাস ব্যবহার করে নজরদারি করছে ভারত।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
গত মাসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল সরকারি সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। দেশটির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী অশ্বিনি বৈষ্ণ বলেন, সরকার এসব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখছে।