যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করলে খুশি হব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:২৯
শেয়ার :
যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করলে খুশি হব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ভিসানীতি প্রয়োগ করে তবে খুশি হবেন বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের বড় দেশগুলোর টানাপোড়েন কিংবা তলে তলে আপস হয়ে গেল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো টানাপোড়েন নাই। কারণ, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু এবং সংঘাতহীন নির্বাচন করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তলে তলে কিছুই হয়নি।’

ড. মোমেন বলেন, ‘ভারত, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক। আমেরিকার সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক। একাত্তরে আমেরিকা আমাদের বিপক্ষে থাকলেও যেদিন আমরা স্বাধীনতা পেলাম, তারপর থেকে আমেরিকা আমাদের প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করছে। সব সময় সমর্থন দিয়েছে।’

নির্বাচন নিয়ে বহিঃবিশ্বের চাপ অনুভব করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো চাপ অনুভব করি না। আপনারা মিডিয়া আমাদের চাপ দিয়েছেন। আমাদের যে চাপ সেটা আমাদের নিজেদের চাপ। আমরা নিজেরা চাপ অনুভব করি, যাতে একটা গ্রহণযোগ্য এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমরা দুনিয়াকে দেখাতে চাই। অন্যদের তাগিদে না। অন্যরা আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে। আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকা আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে। তাদের সাহায্যটা হলো, যারা নির্বাচন বর্জন করবে বা প্রতিহত করবে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের দেশে নেবে না। তাদের দেশে নেওয়া না নেওয়া তাদের বিষয়। আমেরিকা যেটা বলেছিল, যারা নির্বাচন প্রতিহত করবে বা বর্জন করবে তাদের তারা ভিসানীতি প্রয়োগ করবে। আমি খুব খুশি হব, যদি তারা সত্যি সত্যি প্রয়োগ করে।’

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) তো নির্বাচন বর্জন করছে। যাতে নির্বাচন না হয় তার জন্য প্রচার করছে। তবে আমেরিকা যে কমিটমেন্ট করে সেটা করলে ভালো।’

বিএনপির সমালোচনা করে ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের উল্টো দল, তাদের ওপর বিদেশি অনেকের বিশ্বাস হারিয়ে গেছে। আগে মনে করেছিল তারা বোধহয় খুব শক্তিশালী। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের আন্দোলনের পর দেখল এটা গণতান্ত্রিক দল না। গণতান্ত্রিক দল সস্ত্রাসী তৎপরতা করে না। সন্ত্রাসকে কেউ পছন্দ করে না। আমার মনে হয়, তাদের নেতৃত্বের গাফলতি এবং অপরিপক্কতার কারণে তারা অনেকের (বিদেশিদের) সমর্থন হারিয়েছে।’