প্রতিদিন ৭৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য যায় কর্ণফুলী নদীতে
ইপসার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তথ্য
চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৭৫০ টন বর্জ্য অপসারণ করতে পারে না। এসব বর্জ্যের বেশিরভাগই পলিথিন যা নগরীর বিভিন্ন খাল নালার মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীতে চলে যায়। এভাবে দিনে দিনে কর্ণফুলী নদীতে প্রায় সাত ফুটের বেশি উচ্চতায় পলিথিনের স্তর জমেছে। এ কারণে কর্ণফুলী ক্রমশ নাব্যতা হারাচ্ছে। পলিথিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখনই সচেতন না হলে আগামীতে এর ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ট্রেনিং অব ইয়ুথ ইন এনভায়রনমেন্ট জার্নালিজম শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এসব মতামত দেন। তারা বলেন, কর্ণফুলী নদী বাঁচলে চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচবে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের মোট আমদানি রপ্তানির ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকে।
সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল অ্যাকশন-ইপসার প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের উদ্যোগে তিনদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
নগরীর জাকির হোসেন সড়কের একটি রেঁস্তোরায় আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদকিতা বিভাগের সাবেক সভাপতি খ. আলী আর রাজী, প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, চট্টগ্রাম নদী খাল রক্ষা আনোদালনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান ও আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ।
ইপসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ফোকাল পারসন আবদুস সবুর, কো-অর্ডিনেটর ফারাহ আমিনা খাতুন ও আবু তাহের। প্রশিক্ষণ শেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।