বলাৎকারের পর হত্যার ঘটনায় যুবককে গ্রেপ্তার

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৪৪
শেয়ার :
বলাৎকারের পর হত্যার ঘটনায় যুবককে গ্রেপ্তার

সিলেটের বিশ্বনাথে আমিন মিয়া সিয়াম (১৬) নামের এক কিশোরকে বলাৎকারের পর হত্যার ঘটনায় আরকুম আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার অভিযুক্ত আরকুম আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রবিবার দুপুরে বিশ্বনাথ থানা কম্পাউন্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আশরাফুজ্জামান। পরে নিহত সিয়ামের বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আরকুম আলীকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আরকুম আলী উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে এএসপি বলেন, গ্রেপ্তারের পর আরকুম আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আরকুম জানিয়েছে, একই ইটভাটাতে কাজের সুবাদে সিয়ামের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। গত বুধবার  ইটভাটায় কর্মরত সিয়ামের বাবা ও বড় ভাই প্রয়োজনীয় কাজে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে গেলে তাকে বলাৎকারের ফন্দি আটেন তিনি। রাত ৮টার দিকে ইটভাটার নিকটবর্তী পূর্বপাশের হয়দরপুর হাওরে সিয়ামকে নিয়ে যান আরকুম। সেখানে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। সিয়াম ঘটনাটি তার বাবা ও ইটভাটার ম্যানেজারকে জানাবে বললে সিয়ামের সঙ্গে থাকা তোয়ালে দিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

উল্লেখ্য, সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজের তিন দিন পর গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় আমিন মিয়া সিয়াম (১৬) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর এফসি ইটভাটা সংলগ্ন হাওর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথের এফসি ইটভাটার শ্রমিক সর্দার আকবর আলীর ছেলে। পিতা আকবরের সঙ্গেই শ্রমিক হিসেবে ওই ভাটাতে কাজ করতেন কিশোর সিয়াম ও তার দুই ভাই। হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইটভাটার মেশিনের মেকানিক চান্দ আলী (৫৩) ও ট্রাক্টর চালক রবিউল ইসলামকে (৪৮) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ওই সময় সিয়ামের পিতা আকবর আলী গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে ইটভাটার মেশিনের মেকানিক চান্দ আলী হত্যা করেছে। ঘটনার দিন রাতেই তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন।