রাজধানীতে ট্রেনে আগুন, সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল
রাজধানীতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে দেওয়া ওই আগুনের সিসিটিভি ফুটেজ আজ বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানায়, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছাতে সময়ের হিসাবে দূরত্ব ১৮ মিনিটের। ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনটিতে আগুন দেখা যায়নি। কিন্তু তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছার আগে টের পাওয়া যায় ট্রেনে আগুন লেগেছে। এ থেকে বোঝা যায়, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পার হওয়ার পর সৈনিক ক্লাবের আগে ট্রেনে অগ্নি-সংযোগ করা হয়েছে।
ডিএমপির তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) গোলাম সবুর বলেন, ‘উত্তরা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকে শনাক্ত করা যায়নি, চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আর গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, ‘আগুন কোন এলাকায় লাগানো হয়েছে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে সিসিটিভি ফুটেজে। ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত আমরা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে কোনো আগুন বা ধোঁয়ার আলামত পাইনি। তবে, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পার হওয়ার পর সৈনিক ক্লাব এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে আগুনের আলামত স্পষ্ট দেখা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘সৈনিক ক্লাব এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর এটি স্পষ্ট মনে হয়েছে যে, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে উঠে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পার হওয়ার পর আগুন দেয়া হয় ট্রেনটিতে। কারণ সৈনিক ক্লাবের আগের কোনো সিসিটিভিতে আমরা ট্রেনটিতে আগুন কিংবা ধোঁয়ার আলামত দেখতে পাইনি। এ ছাড়া, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগ করে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস পৌঁছালে তাতে আগুন লাগার বিষয়টি জানা যায়। এ আগুনে মা ও শিশুসন্তানসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন।
পরে মঙ্গলবার রাতে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) খালেদ মোশাররফ বাদী হয়ে কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। রেলওয়ে থানায় মামলা হলেও ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছে ডিএমপি।