অপূর্বর কারণেই কি সিনেমা ছাড়লেন কলকাতার অভিনেতা

বিনোদন ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২০
শেয়ার :
অপূর্বর কারণেই কি সিনেমা ছাড়লেন কলকাতার অভিনেতা

ছোট পর্দায় সমানতালে অভিনয় করছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। দেড় যুগের ক্যারিয়ারে অভিষেক হয়েছে সিনেমাতেও। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’। সম্প্রতি তিনি নাম লিখিয়েছেন কলকাতার নির্মাতা প্রতীম ডি গুপ্তের ‘চালচিত্র’ সিনেমায়। এবার টলিউডে গুঞ্জন- এমএন রাজের নির্মিতব্য ‘এম ১৬’ সিনেমায় থাকতে পারেন অপূর্ব। পরিচালকের কথার ইঙ্গিতও তেমন।

পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা জিতু কমলের একটি পোস্টের প্রেক্ষিতে বোমা ফাটাল প্রযোজনা সংস্থা টিম নেক্সজেন ভেঞ্চার। এর পরিচালক এমএন রাজের কথায় ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই সিনেমাতে থাকতে পারেন টলিউডের সোহম চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের অপূর্ব। আর এই কারণেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে সিনেমা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন জিতু! তবে চুপ থাকেননি এর প্রযোজনা সংস্থার অন্যান্য সদস্যরা।

তাদের অভিযোগ, এই সিনেমাতে জিতু তার সমান্তরাল কাউকে মেনে নিতে পারছিলেন না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। যে কারণে শেষপর্যন্ত ভয় পেয়ে সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন। এবং সরে যাওয়ার আগে একবার জানানোরও প্রয়োজন মনে করেননি!

তারা আরও বলছেন, ‘সিনেমার ১০ দিনের শুটিং হয়ে গেছে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর কথা। জিতু কিছুতেই প্রযোজনা সংস্থাকে ডেট দিচ্ছেন না। এতে করে পিছিয়ে যাচ্ছে সিনেমার কাজ। প্রথমে অঙ্কুশের সঙ্গে সমস্যা। এখন জিতুর সঙ্গে।’


ক্ষুব্ধ পরিচালক এমএন রাজও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমার ছবিতে জিতুই নায়ক। বিরতির পর দ্বিতীয় ভাগে দ্বিতীয় নায়কের প্রবেশ। জিতু তাকে নিজের সমান্তরাল ভেবে ভয় পাচ্ছেন। সেই নায়কের চরিত্রে সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। দাদা রাজিও ছিলেন। কিন্তু জিতুর সমানে বায়না, নতুন কাউকে নাও। ফলে, সোহমদার সঙ্গে কিছুতেই পাকা কথা বলতে পারলাম না।’

পরিচালকের দ্বিতীয় পছন্দ বাংলাদেশের অভিনেতা অপূর্ব। তার সঙ্গেও নাকি কথা এগিয়েছে। তাতেও আপত্তি জিতুর! তাই শুটিংয়ে যেতে গড়িমষি করছিলেন। শেষ পর্যন্ত কিছু না জানিয়ে সামাজিকমাধ্যমে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জিতু।

তার কথায়, ‘আমার সমস্ত অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাচ্ছি, আমি জিতু কমল এমএন রাজ পরিচালিত, নেক্সজেন ভেঞ্চার পরিচালিত এম-১৬ ছবির সঙ্গে আর কোনোভাবে যুক্ত নই।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ করেননি অপূর্ব।