সাঁথিয়ায় ২ চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের জেরে ফের সংঘর্ষ
পাবনার সাঁথিয়ায় নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেবসহ (৫৬) অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আজ মঙ্গলবার সকালে নাগডেমরার সোনাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত তিনদিন এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আহতদের সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে নাগডেমড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের মামা ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু তালেব সকালে সোনাতলা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পথে প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সমর্থকরা তাকে সোনাতলা বাজারের পাশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন। এ খবর জানাজানি হলে চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে এলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে জাওয়াদ, রাজিব, শহিদুল, হাসান, সিফাত, বিপ্লব, নুর আলী, আলতাব মোল্লা, হোসেন, শামসুল, সাফিয়া, সাদিয়া, রেজাউল, আদুরি, মান্নান, সাত্তার, তাসলিমা, ইরান, হালিমা খাতুনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব বলেন, ‘আমি সোনাতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, তার ছোট ভাই জুয়েলসহ তার সমর্থকেরা আমাকে হাতুরি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।’
নাগডেমড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান হারুন রশিদ গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে একের পর এক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আজ আমার মামা সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তালেব সোনাতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে তাকে মারধর করে এবং আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।’
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘হাফিজ চেয়ারম্যানের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেবকে মারধর করায় এলাকায় আবারো দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’