মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের দখলে রাখাইন রাজ্য
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য দখলে নেওয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তারা জানায়, রাখাইনে ১৭ শহরের মধ্যে ১৫টিই এখন তাদের দখলে। জান্তা বাহিনীল ১৪২টি ঘাঁটি তারা দখলে নিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত কয়েক দশক ধরে সামারিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। সর্বশেষ অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর সাথে গ্রামাঞ্চলে মারাত্মক সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স। বিদ্রোহী বাহিনীর একটি দল সম্প্রতি চীন সীমান্তে জান্তা লক্ষ্যবস্তুতে একের পর এক আকস্মিক হামলা চালিয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাই। এরপর থেকে দেশটিতে গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর নিপীড়ন এবং অভ্যন্তরীণ সংঘাত বেড়েই চলছে। প্রায় প্রতিদিনই সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধ গ্রুপগুলোর লড়াই হচ্ছে। সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশটিতে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
অক্টোবর মাসে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জোট করে জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা জোরদার করে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জায়গা দখলে নিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
এবার পুরো রাজ্য দখলে নেওয়ার দাবি করল আরাকান আর্মি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গত ৪৫ দিনে তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। রাজ্যের রাজধানী সিতের একটি সামরিক ঘাঁটিসহ অন্যান্য ১৪টি শহরের ঘাঁটি দখলে নিয়েছে তারা।
এখনো রাখাইনের ম্রক ইউ, পাখতু এবং মংডু শহরে তীব্র লড়াই চলছে। সর্বশেষ বুধবার ম্রক উ শহরে হামলা চালায় আরাকান আর্মি। সেখানে জান্তা বাহিনীর বড় ক্ষতি হয়। পরবর্তী সময়ে বিমান হামলা শুরু করে জান্তা সরকার।
শহরের বাসিন্দারা জানায়, সেখানকার পাঁচটি গ্রামে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। কোনো বেসামরিক হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও একাধিক বাড়ি ও ধর্মীয় উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
১৩ নভেম্বর থেকে রাখাইনের অন্তত ৩০০ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে জান্তা বাহিনী। গ্রামের সাতজনকে মানবঢাল হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে বিদ্রোহীরা।
সিতের এক বাসিন্দা বলেন, জান্তা বাহিনীর প্রতিদিনই কোনো কারণ ছাড়া বেসামরিককে গ্রেপ্তার করছে।