জরুরি বৈঠকে জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:২৮
শেয়ার :
জরুরি বৈঠকে জি এম কাদের

আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির (জাপা) আসন সমঝোতার বিষয়টি এখনও ঝুলে আছে। কয়েক দফায় দুই পক্ষের বৈঠকেও সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা না হলে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে জাপা। এই দোলাচালের মধ্যে কো-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

আজ রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তবে জাপার শর্ত এখনও পূরণ করেনি আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠকেও আসন নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা না হওয়ায় পার্টিতে অস্থিরতা দৃশ্যমান। সংখ্যার পাশাপাশি আসন নম্বর (এলাকা) নিয়েও জটিলতার কথা শোনা যাচ্ছে।

অন্যদিকে বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আসন বিষয়ক বিক্ষোভ চলছে। বর্তমানে পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে দলটির বনানী অফিস।

আজ বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বনানী কার্যালয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, পরপরেই কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলাম উপস্থিতি হন।

জাপা সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির ডোনার খ্যাত যমুনা গ্রুপের কর্ণধার সালমা ইসলাম এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির আসন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

জাপার সিনিয়র নেতাদের আসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকার ৪টি আসন না হলে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে দলটি। 

সিনিয়র নেতাদের এসব আসনের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে প্রবল আস্থার সংকট রয়েছে। জাতীয় পার্টি মনে করে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনো প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেনি আওয়ামী লীগ। নানাভাবে তাদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। উপনির্বাচন, উপজেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত কোথাও ছাড় দেওয়া হয়নি। অনেক সময় জোরকরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে জাপার প্রার্থীদের। সে কারণে এবারের প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করবে সে সম্পর্কে তাদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ কারণে জাতীয় পার্টি আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে তারপর সিদ্ধান্ত দিতে চায়।