ঢাকা জেলা প্রশাসনের মহান বিজয় দিবস উদযাপন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১১টায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মো. সাবিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, ঢাকা মো. আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার), সাবেক কমান্ডার, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ মোছাম্মৎ হামিদা বেগম, চেয়ারম্যান, ভূমি আপিল বোর্ড একেএম শামীমুল হক ছিদ্দিকী, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন মো. ফায়জুল ইসলাম ও মহাপরিচালক, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি সুকেশ কুমার সরকার।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধ ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তাই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু শুধু মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাই নয়, তিনি এই দেশকে কেমন করে নির্মিত করতে হবে এবং দেশের চেহারাটা কেমন হবে তাও নির্ধারণ করে গেছেন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আদর্শ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার সূচনা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে হয়নি। বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল সারা জীবনের। আমরা দেখেছি অতিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে খণ্ডিত করা হয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানিত করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেকে পরিচয় দিতে ভীত সন্ত্রস্ত থাকতেন। সেই জায়গা থেকে আজকে আমরা বেড়িয়ে এসেছি।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
মুখ্যসচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সরকার ছিল সবচেয়ে দক্ষ সরকার। এত শক্তিশালী সরকার আর কোথাও ছিল না। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি সেক্টরে হাত দিয়েছিলেন। তিনি যেমন শহরকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, তেমনি গ্রামকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কোথাও তিনি বৈষম্য করেননি। আজকের বর্তমান সরকারও বৈষম্য করেনি, গ্রাম ও শহরকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে।’
আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বাংলা ও বাঙালির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির সামগ্রিকতাকে নিয়ে একটি সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র গঠনের মৌলিক চিন্তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগে এই দেশে কেউ ভাবেননি। দলমত নির্বিশেষে সোনার বাংলা গড়া হোক আজকের বিজয় দিবসে আমাদের সকলে অঙ্গীকার।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপস্থিত অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা, মহানগরের স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্কাউট, গার্ল গাইডস প্রমুখ।