ঘরের ভেতর পড়েছিল প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ
ফেনীর দাগনভূঞায় নিজ ঘর থেকে মমতাজ বেগম পারুল (৫৬) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহীগুনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহের গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল।
গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে নিহতের মেয়ে বাড়িতে এসে ঘরের ভেতর মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মমতাজ বেগমের স্বামী আতাউর রহমান ও বড় ছেলে মেহেদী হাসান তুহিন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন। তিনি জায়লস্কর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন। তার ছোট ছেলে বাড়ির বাইরে ছিলেন। একমাত্র মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে মাকে বার বার মোবাইলে কল দিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি ঘরের দরজা খোলা পান এবং ভেতরে ঢুকে মায়ের গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থায়ীদের সহায়তায় পুলিশে খবর দেন।
নিহতের ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার সময় সহপাঠীদের নিয়ে পাশের মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিলাম। বড় ভাইয়ের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। মা একাই ঘরে ছিলেন। এ সুযোগে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় মাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ডাকাতরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।’
এ ঘটনার খবর পেয়ে ফেনী পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দাগনভূঁঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসিম বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এটি ডাকাতি কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতলের মর্গে পাঠিয়েছে।