বাতিল হচ্ছে গণতন্ত্রী পার্টির নিবন্ধন
গণতন্ত্রী পার্টির নিবন্ধন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে দলটি কোনো বক্তব্য দিতে চায় কি না, তা জানতে চেয়ে পার্টির দুই অংশকে পৃথক চিঠি দিয়েছে ইসি। চিঠিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে।
ইসির উপসচিব মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সব শর্তাদি প্রতিপালনের শর্তে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুসারে প্রত্যেক নিবন্ধিত দলকে নিবন্ধনের শর্তাদি প্রতিপালন সম্পর্কে কমিশনকে সময় সময় অবহিত করার বিধান রয়েছে।
এতে বলা হয়– গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি কমিটি কমিশনে আলাদাভাবে দাখিল করে। অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনও ওই দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সঠিক না। তাদের পৃথক দুটি চিঠিতে ২০১২ সালের কাউন্সিল ও ২০২৩ সালের প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ব্যক্তিদের তালিকা ও রেজুলেশনসহ জেলা ও উপজেলা দফতরের ঠিকানাসহ নির্বাচিত কমিটির তালিকা ২৭ আগস্টের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়। পরে তাদের অনুরোধে কমিশন আরও এক মাস সময় বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ইসির চিঠি সূত্রে জানা গেছে, নতুন বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী দুই ভাগে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয় ইসিতে। কাগজপত্রে ঘাটতি থাকায় সেটা পূরণ করতে নতুন করে আরও সাত দিন সময় দেওয়া হয় দলের দুটি অংশকে। পরে তারা আবারও দুই ভাগে কাগজপত্র জমা দেয়। এ কারণে কমিশন দুটি অংশকে সরাসরি উপস্থিত হয়ে শুনানির সিদ্ধান্ত নেয়। ওই শুনানি এবং দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ইসি গণতন্ত্রী পার্টির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চিঠিতে নিবন্ধন বাতিলের অংশ হিসেবে গণতন্ত্রী পার্টি শুনানি প্রদানে ইচ্ছুক কিনা তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ইসি সচিবালয়কে জানাতে বলেছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এদিকে দলের এই বিভক্তির কারণে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী গণতন্ত্রী পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও ইতিমধ্যে বাতিল করেছে ইসি।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রী পার্টি ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায়। দলটির নিবন্ধন নম্বর ০০৮।