নির্বাচনে শরিকদেরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হবে: ওবায়দুল কাদের

অনলাইন ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:২১
শেয়ার :
নির্বাচনে শরিকদেরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হবে: ওবায়দুল কাদের
ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জিততে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমরাও করব, শরিকদেরও করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনের রেজাল্ট আনতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসার জন্য ইতোমধ্যে অনেকে বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন বিষয়ক টেকনিক্যাল কমিটি বাংলাদেশে অবস্থান করছে, নির্বাচন পর্যন্ত তারা থাকবে। ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি, আরব লিগ পর্যবেক্ষক পাঠাবে। পর্যবেক্ষকদের তালিকা আরও আছে সেটা শিগগিরই জানা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসি বলেছে, নির্বাচনে সেনাবাহিনী কত দিন থাকবে। আমরা সেনাবাহিনীকে সব বিষয়ে বিতর্কিত করার বিপক্ষে। বাংলাদেশে সংবিধানে নির্বাচনে তাদের কী ভূমিকা, তা লিপিবদ্ধ আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে আছে, তাদের বলা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। বলপূর্বক বা ফ্রিস্টাইলের কোনো নির্বাচনের ভূমিকা কেউ নেবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতামূলক যাকে বলে, যেটা গণতন্ত্রেরই বিষয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা করতে পারবে। সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের শরিকদের কারও কোনো আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকবে।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে– জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইলেকশনে বিনা প্রতিযোগিতায় কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী যেই হোক, তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ক্যাবিনেটে এটা কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নয়। ক্যাবিনেট শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন। এটা আমরা এখনো নিশ্চিত না। এটা সব কাগজেরও নিউজ না। আজও জাতীয় পার্টি নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। জাতীয় পার্টির মহাসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা অব্যাহত আছে।’

জাতীয় পার্টিকে কোনো সিট ছেড়ে দেওয়া হবে কি না– জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাদের করতেই হবে। অপ্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে সিট ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই তাদের আসতে হবে।’

দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করানো গঠনতন্ত্রবিরোধী কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগেরটা আগে, আজকেরটা আজকে। আগামীকালেরটা আগামীকাল। পরিস্থিতি ও পুনর্মূল্যায়নের বাস্তবতার নিরিখে আমরা মূল্যায়ন করি। এটাই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চা।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো বিষয়ে কোনো জটিলতা দেখা দিলে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি (সভাপতি) ব্যবস্থা নিতে পারেন। দেশের সার্বিক গণতন্ত্র যেখানে সংকটের মুখে, বিএনপিসহ বিরোধী দল গণতন্ত্রের প্রতি নির্বাচনের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের সভাপতির বিশেষ দায়িত্ব পালনের সুযোগও আমাদের গঠনতন্ত্রে রয়েছে।’

সংসদ সদস্যদের হলফনামায় বিপুল সম্পদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তো ওইভাবে দেখি না। আমি দেখব নির্বাচন কমিশন কী বলছে। নির্বাচন কমিশন অনেকের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন যদি কাউকে দুর্নীতিবাজ মনে করে, সেটা তাদের ব্যাপার। যদি দুর্নীতি দমন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন না করে, তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়, অনুমতিপ্রাপ্ত কাউকে তো এই মুহূর্তে আপনি দুর্নীতিবাজ বলতে পারেন না।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দীসহ আরও অনেকে।