‘সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল’
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের সন্ত্রাস দমনে সাফল্য বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল বলে অভিহিত করেছেন মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী।
গতকাল সোমবার গ্লোবাল ফোরাম ফর ভায়োলেন্স-ফ্রি সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সাফল্য এবং অঞ্চল ও এর বাইরে নিরাপত্তার জন্য এর প্রভাব’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সন্ত্রাস-প্রতিরোধে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। সন্ত্রাস দমনের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো করছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ড. নবী আরও দাবি করেন যে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ সাফল্য শুধু বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নেই নয়, এই অঞ্চলে এবং এর বাইরেও সাহায্য করছে।
এছাড়া ওয়েবিনারে চারজন বিশিষ্ট প্যানেলিস্ট পেপার উপস্থাপন করেন।
প্রথম উপস্থাপনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম ‘সন্ত্রাসবাদের উপর বাংলাদেশের জিরো-টলারেন্স নীতি: অঞ্চল ও তার বাইরের প্রভাব’ বিষয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ড. ইসলাম উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে (২০০৯-বর্তমান) বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি ভারতের নিরাপত্তায় বিশেষভাবে অবদান রেখেছে, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করে।
ড. ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে বাংলাদেশের জিরো-টলারেন্স নীতি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও সাহায্য করেছে।
দ্বিতীয় উপস্থাপনায় যুক্তরাজ্য ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তার উপর দৃঢ় জোর দিয়ে যুক্তি দিয়ে বলেন, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বাংলাদেশের পাকিস্তানিকরণ হয়েছিল যা সমালোচনামূলকভাবে দেখা দরকার। তিনি বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রসারে ২০১৫ সালে একজন পাকিস্তানি কূটনীতিকের জড়িত থাকার কথাও উল্লেখ করেন।
তৃতীয় প্রেজেন্টেশনে নর্থ ক্যারোলিনা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক এ বি এম নাসির পর্যালোচনা করেন কীভাবে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনি ব্যাখ্যা করেন কিভাবে বিএনপি-জামায়াত শাসন আমলে বাংলাদেশের জনগণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য বাংলাদেশ-মার্কিন নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও গভীর করার পরামর্শ দেন।
চতুর্থ উপস্থাপনায় ব্রাসেলসের দক্ষিণ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাসাকা জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি যুক্তি দিয়ে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিরোধী ডোমেনে একটি রোল মডেল হয়ে উঠেছে যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।