খাগড়াছড়িতে ৪ ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার দাবি
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফের চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে পানছড়ি উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর এলাকায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সঙ্গে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ৫৫ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়।
নিহতরা হলেন- পিসিপি’র সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল কান্তি ত্রিপুরা (২৮), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহসভাপতি লিটন চাকমা (২৯) ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (৪৯)।
নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়। তার পিতার নাম সুনয়ন চাকমা। সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ায়। তার পিতার নাম সুখেন্দু বিকাশ ত্রিপুরা। লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ায়। তার পিতার নাম মৃত চিন্তা মুনি চাকমা এবং রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা পানছড়ির উল্টাছড়ি ইনিয়নের পদ্মিনী পাড়ার বাসিন্দা। তিনি জনাধন ত্রিপুরার ছেলে।
এ ঘটনায় আরও নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফ সংগঠক সম্পাদক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা।
ইউপিডিএফ এর সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমাসহ উক্ত ৭ জন নেতাকর্মী গতকাল লোগাং এলাকায় যান। তারা রাতে অনিল পাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হানা দেয়। তারা ঠাণ্ডা মাথায় একে একে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে। তাদেরকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে চলে যায়।
এ ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে নীতিদত্ত ও হরি কমলকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিউল আজম বলেন, ‘গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনা বিভিন্নভাবে শুনেছি। তবে দূর্গম এলাকা হওয়ায় এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি।’