অর্ধশতাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দেশের সরকার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাজ্য জানায়, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিশ্বের ৪৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেলারুশ, হাইতি, ইরান ও সিরিয়ায় স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ ও জোরপূর্বক কাজ করানোর অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সরকারি ওয়েবসাইটে দেশটির সরকার জানায়, বিশ্বজুড়ের অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবস্থান সুনিশ্চিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ জব্দ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা-দুই ধরনের পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বেলারুশের বিচার বিভাগের ১৭ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে আন্দোলনকারী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসিকিউটররাও আছেন। এ ছাড়া ইরানের পাঁচ ব্যক্তিও আছেন তালিকায়। হিজাব আইন আরোপ ও প্রয়োগ করার জন্য তারা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারে মানব পাচারের জন্য নয়জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে পদদলিত করে—বিশ্বের কোথাও এমন অপরাধী ও নিপীড়ক সরকারকে তারা সহ্য করবেন না।
কানাডা সরকার চেচনিয়ায় এলজিবিটিকিউ অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী রাশিয়ার চার ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, `আজকের এই পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল যুক্তরাষ্ট্র। সংঘাত সংশ্লিষ্ট যৌন সহিংসতা, জোরপূর্বক শ্রমসহ এই ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে তালেবানের এক সিনিয়র কর্মকর্তাও। তিনি দেশটিতে নারী শিক্ষা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।