চাকরিপ্রার্থীদের অনশনে নেতার দিকে জুতা নিক্ষেপ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যায়ের নির্বাচনী পরীক্ষায় (এসএলএসটি) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অনশন করছেন। দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে চলমান এ আন্দোলনে আজ শনিবার এক নারী চাকরিপ্রার্থী মাথ্যা ন্যাঁড়া করে প্রতিবাদ করেছেন। সেই অনশন মঞ্চে তার সঙ্গে কথা বলতে যান পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দলটির মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেখানে তার দিকে জুতা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, কলকাতার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনের ১০০০তম দিনে তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বিজেপি এবং বাম নেতারা দেখা করেন। পরে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিকেলে সেখানে যান।
কুণাল ঘোষ অনশন মঞ্চে পৌঁছাতেই হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চাকরিপ্রার্থী, বিরোধী নেতা এবং পুলিশের ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়ে যান তিনি। এ সময় তাকে উদ্দেশ করে ‘চোর’, ‘চোর’ বলে স্লোগান দেন অনেকে। এরই মধ্যে কেউ একজন জুতা ছুঁড়ে মারেন কুণালের দিকে। এরপরও বেশ কিছুক্ষণ তাকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে।
বিক্ষোভ শেষে কুণাল জানান, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবহিত। এ নিয়ে আলোচনার পথ খোলা আছে। আগামী সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
কুণাল আরও জানান, যে চাকরিপ্রার্থী তার মাথা কামিয়ে ফেলেছেন, তাকে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন। তার সঙ্গে একাধিক বার সাক্ষাৎ হয়েছে। তাকে দেখতেই তিনি অনশন মঞ্চে এসেছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে জট খুলুক। আজ যখন রাসমণি (মাথা ন্যাঁড়া করা নারী) চুল বিসর্জন দিচ্ছেন, তখন মনে হয়েছে অফিসে কথা না বলে তাদের সঙ্গে এসে দেখা করে যাই।’
অনশনকারীদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের এসএলএসটির নম্বরভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। মেধাতালিকার সামনের সারিদের বঞ্চিত করে পেছনের সারির প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এর আগে ২০১৯ সালে ২৯ দিন অনশন করেছিলেন তারা। তখন তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও তারা চাকরি পাননি। ২০২১ সালে সল্টলেকে ১৮৭ দিন অনশন করেন তারা। তারপর আবার অনশন শুরু করেন, যার ১০০০তম দিন পূর্ণ হলো আজ।