ঢাকার রিকশাচিত্র পেল ইউনেসকোর স্বীকৃতি

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:০১
শেয়ার :
ঢাকার রিকশাচিত্র পেল ইউনেসকোর স্বীকৃতি

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসেকোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র।

আজ বুধবার আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক-২০০৩ কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এর আগে ২০০৮ সালে বাউলসংগীত, ২০১৩ সালে জামদানি শাড়ি ও ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেসকোর স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

২০১৭ সালে বাংলাদেশের শীতল পাটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। জামদানি বয়ন শিল্প, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার পর বাংলাদেশের পঞ্চম ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে এ স্বীকৃতি পেল ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ স্বীকৃতির ফলে গত আট দশক ধরে চলমান রিকশা চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি লাভ করল। গত ছয় বছর ধরে এ চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে ফের নথি জমা দেওয়ার সুযোগ মিললে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রিকশাকে ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতির জন্য কাজ করে আসছিল বাংলাদেশ। সবশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে চূড়ান্ত আবেদন করা হয়।

ইউনেসকোর এই স্বীকৃতির সুফল কী হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে রিকশাচিত্রের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ হবে। শিল্পকলার একটি স্বতন্ত্র ধারা হিসেবে বিশ্বব্যাপী রিকশাচিত্র চর্চিত হবে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক লাভের পাশাপাশি এর সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক অর্জনও যুক্ত হবে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন। এ ছাড়া নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান।