বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি, আছে গোয়েন্দা তথ্য: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্র নিয়ে লড়াই করছি। সংবিধান রক্ষা, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এর জন্য এই নির্বাচন আমরা করতে চাই। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে চাই।
আজ বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মানবাধিকার দিবসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে- নিজের এমন বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়েই কথা বলি। সরকারি দল হিসেবে আমাদের জানার সুযোগ বেশি। আমাদের এখানে গোয়েন্দা ফেলউরের কোন বিষয় নেই। গোয়েন্দা সূত্র সহ বিভিন্ন সূত্র আছে, আমরা তেমনই তথ্য পেয়েছি। এর আগেও তাদের সম্পর্কে যেসব তথ্য পেয়েছি কোনটাই বাস্তবে ভুল প্রমাণিত হয়নি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এমন একটা দল যারা ভুলের রাজনীতি করছে এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তাতে এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াতই বিএনপিতে মূল নেতৃত্ব দিবে। বিএনপি হবে জামায়াতের বি-টিম।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিএনপি অফিসে তালা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের অফিসে তারা নিজেরাই তালা দিয়েছে। আমরা কি করব। তাদের এত সাহস থাকলে সকাল বেলা কুয়াশার মধ্যে কোথা থেকে কাকে কাকে নিয়ে নিজেদেরই ছবি তোলে, নিজস্ব উপায়ে। ঝটিকা মিছিল করে। ওই যে তাদের আবাসিক প্রতিনিধি। এখন আর আবাসিক নেই। এখন অনাবাসিক প্রতিনিধি।’
১৪ দলীয় জোটের শরীক জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন বন্টন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বৈঠকের আগে বলব কেমন করে? আগে বৈঠক করি, তাদের বক্তব্য আগে শুনব, আগামী দিনে কীভাবে চলব- দলীয় বক্তব্যটা আগে শুনব।’
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধী দল বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল দাঁড়িয়ে যাবে। তৃণমূল বিএনপি- তারাতো বৃহৎ জোট। সুপ্রিম পার্টি। আরও অনেকে আছে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এবার জাতীয় পার্টির শক্তিশালী বিরোধী দলের মোক্ষম সময় নিয়ে নিজের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা ছিল আমার ব্যক্তিগত মতামত। তারা আমার মতের সঙ্গে একমত নাও হতে পারে। এটাও গণতন্ত্র। যারাই নির্বাচন করবে তারাই পরস্পরের প্রতিপক্ষ হবে।’
জোটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আসন বন্টন দু’এক দিনের মধ্যে বলে জানান তিনি।
স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীতে বিশুদ্ধ গণতন্ত্র বিরল। এর পরও শত বাধা বিপত্তি প্রতিবন্ধকতার মুখেও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই গণতন্ত্রের হাল ধরেছেন। সে কারণে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির পরও আমরা গণতন্ত্র বিকাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।