৩০ বছর পর সামনে এলো মিশার প্রেমকাহিনি
বাংলা চলচ্চিত্রে তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দায় তাকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক- দুই চরিত্রেই দেখা গেছে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নেতিবাচক চরিত্রেই তিনি নজর কেড়েছেন। তবে পর্দার মিশা আর বাস্তবের মিশার মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। সিনেপর্দায় তিনি যতটা নেতিবাচক ও হিংস্র, বাস্তবে ঠিক তার উল্টো। ব্যক্তিজীবনে একজন তুখোড় প্রেমিকও। ১০ বছর চুটিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেন মিশা সওদাগর। তার স্ত্রী মিতা। দেখতে দেখতে দাম্পত্যের ৩০ বছর পার করেছেন তারা। আজ মঙ্গলবার এই দম্পতির বিবাহবার্ষিকী।
বিশেষ এই দিনটির শুরুতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ত্রী মিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘৩০ বছর পার করার পর আমার উপলব্ধি হচ্ছে, মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে তার মা জননী। আর একজন পুরুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হচ্ছে তার স্ত্রী। জেতার মান-সম্মান, অর্থ, প্রতিপত্তি, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, সন্তান-সন্ততির আমানত হিসেবে রক্ষা করে। তোমার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা অনেক ভালোবাসা। আমাকে আজকের দিনে কবুল করার জন্য তোমার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। শুভ হোক বিবাহবার্ষিকী।’
এদিকে, মিশা-মিতার প্রেমকাহিনি যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। প্রেম ও বিয়ের স্মৃতিচারণ করে গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে মিশা বলেন, ‘প্রেমের যখন শুরু তখন আমি ম্যাট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার্থী। আর স্ত্রী মিতা পড়তেন নবম শ্রেণিতে। আমার আম্মা ও মিতার আম্মা নিকটাত্মীয়। আমাদের বাসা এবং তাদের বাসায় যাতায়াত ছিল। সেই সূত্র ধরেই প্রেম।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এই খল অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমরা তো ঢাকার লোক, নিজের ড্রেসআপ গেটআপের দিকে খেয়াল করতাম। পড়াশোনার দিকে অতটা খেয়াল করতাম না। কিন্তু মিতা ফাইভে বৃত্তি পাওয়া মেয়ে। তার মেধা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। এই জায়গা থেকে আমার ফিল আরম্ভ হয়। প্রথম একটা চিঠি দিয়ে প্রেমের শুরুটা করেছিলেন মিতা। তবে দুজনের ১০ বছরের প্রেমের গল্প মোটেও সহজ ছিল না। ছিল পারিবারিক আপত্তি।’
চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলেন মিতা। তবে প্রেমের ঘটনায় তার আর সেখানে পড়া হয়নি। মিশা সওদাগর এই ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ‘মিতা চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল। আমি সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই খবরে ওর আব্বা ওর চট্টগ্রামে পড়া বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি করেছিল। এ ছাড়া আরও অনেক ঝামেলা গেছে আমাদের। কিন্তু আমরা দুজন দুজনকে ছাড়িনি। একবার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তাকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তখন আমরা বিয়ে করি।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
আরেকটি মজার তথ্য হলো- মিশা নামটি এসেছে তার স্ত্রীর কাছ থেকেই। মিতার ‘মি’ ও নিজের নামের শহীদ থেকে ‘শা’ একসঙ্গে করে এই অভিনেতার নাম হয় মিশা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মিশা-মিতা দম্পতি দুই পুত্রসন্তানের জনক। বড় ছেলে হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ ও ছোট ছেলে ওয়াইজ করণী। তারা আমেরিকায় থাকেন। যে কারণে সুযোগ পেলেই স্ত্রী-পুত্রকে সময় দিতে সেখানে উড়াল দেন অভিনেতা।