‘ক্ষমতার মোহে সরকার গার্মেন্টস শিল্পকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে’
দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিক মহলের মতামত উপেক্ষা করে প্রহসনের নির্বাচন করার জেদ অব্যাহত রাখলে জনরোষ এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে সরকার, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও দালালরা কেউই রেহাই পাবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’।
সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে রাজধানীর বিজয়-৭১ চত্বরে আজ সোমবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত পূর্বঘোষিত ‘প্রতিবাদী অবস্থান’ থেকে এই হুশিয়ারি দেন দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর আমানত ও দেশের রিজার্ভ লুটপাটের কারণে জাতীয় অর্থনীতি ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত। তবুও তাদের কোনো বিকার নেই। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে সরকার এখন গার্মেন্টস শিল্পকে মারাত্মক ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণ যখন অভাবের তাড়নায় দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দিশাহারা তখন তারা খেল তামাশার হটকারী নির্বাচন নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে। এই কাণ্ডজ্ঞানহীন ক্ষমতালোভী সরকারকে জনগণ কখনো ক্ষমা করবে না।’
সমাবেশে প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রধানের কার্যক্রম দেখে এটা পরিষ্কার যে তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন। প্রতিশোধ পরায়ণ মানসিকতা নিয়ে তিনি দেশ শাসন করছেন।’
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে আদালত বসিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের যেভাবে সাজা দেওয়া হচ্ছে তাতে আইন ও বিচার ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। সরকার বেসামাল হয়ে দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে ভয়ংকর খেলায় মেতেছে।’
সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘যখন দেশের ঘরে ঘরে অভাব, মানুষ যখন নির্যাতিত ও অধিকার বঞ্চিত তখন ঢোল তবলা নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা উল্লাস করে শ্লোগান দিচ্ছে ‘জিতবে আবার নৌকা’। তাদের আনন্দ দেখে জনগণ বিক্ষুব্ধ হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রতি মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণা তীব্রতর হচ্ছে।’
যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থার যে ক্ষতি এই সরকার করেছে এটা লক্ষ কোটি মানুষকে খুন করার শামীল। অযোগ্য ও বিতর্কিত লোকদের পাঠ্য কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
প্রতিবাদী অবস্থানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সি. সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, আব্দুল হালিম খোকন, সুলতানা রাজিয়া ও সেলিম খানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?