‘ভুল শুধরে নিন, হাতে সময় কম’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:১৭
শেয়ার :
‘ভুল শুধরে নিন, হাতে সময় কম’

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একমাত্র তেলঙ্গানাতে জয় পেয়েছে রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফেরা দূরের কথা নিজেদের দখলে থাকা রাজস্থান এবং ছত্তিসগড়ে বিজেপির কাছে হেরেছে দলটি। গতকাল রবিবার ভোট গণনা শেষে এ তথ্য জানা যায়। এরপরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় নানা সমালোচনা। খবর আনন্দবাজারের।

এদিকে কংগ্রেসের নাম উল্লেখ না করলেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভুল সংশোধন’ করে নেওয়ার আহ্বান জানান। আজ সোমবার দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘পরাজিতেরা ভুল শুধরে নিন। আমাদের হাতে সময় অনেক কম। সময় অপচয় না করে সকলের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’

অর্থাৎ কংগ্রেসের ‘একলা চলো’ নীতিকেই দুষলেন অভিষেক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের রাজনীতির পাশাপাশি ‘ইন্ডিয়া’-র সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য। 

নিজের দলের উদাহরণ টেনে অভিষেক বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে বলছি, যে যেখানে শক্তিশালী, তাকে সেখানে লড়তে দেওয়া হোক। সেটা করলেই হয়ত এই বিপর্যয় হতো না। ২০১৯ সালের (লোকসভা) নির্বাচনে আমাদের কিছু ভুল ছিল। ২০২১ সালে (বিধানসভা নির্বাচন) আমরা তা শুধরে নিয়েছি। সাগরদিঘি উপনির্বাচনেও আমাদের ভুল হয়েছিল। আমরা মানুষের কাছে গিয়ে ভুল শুধরে নিয়েছি।’

কংগ্রেসের নির্বাচনী ব্যর্থতার প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, ‘প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন। যোগ্যদের সুযোগ না দিয়ে প্রচারের আলোয় থাকতে চাইছেন কেউ কেউ। এ ক্ষেত্রে যোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া উচিত।’

রাজস্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, ‘ভোট শতাংশের দিক থেকে পরাজিত কংগ্রেস এবং বিজয়ী বিজেপির ব্যবধান খুব কম। ‘‘অভ্যন্তরীণ ঐক্য’’ বজায় থাকলে পরাজয় এড়ানো যেত।’

উল্লেখ্য, গতকাল ভোটের ফলপ্রকাশের পর তৃণমূল নেতাদের একাংশ কংগ্রেসকে ‘কড়া ভাষায়’ আক্রমণ করেছিলেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘এটা বিজেপির জয় নয়। কংগ্রেসের ব্যর্থতা।’ তবে অভিষেকের বক্তব্য ‘চড়া’ ছিল না। অনেকের মতে, লোকসভার আগে বৃহত্তর জাতীয় রাজনীতির কথা মাথায় রেখেই সরাসরি আক্রমণের পথে না গিয়ে কংগ্রেসকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন অভিষেক। কারণ তিনি জানেন, বাংলায় তৃণমূল কার্যত ‘অপ্রতিরোধ্য’ হলেও সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসকে যেমন প্রয়োজন, তেমনই বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকেও দরকার বিজেপি বিরোধী জোট সফল করার জন্য।