‘অগ্নিসন্ত্রাস আগে হতো খালেদার নেতৃত্বে, এখন হয় তারেকের’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস আগে হতো খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আর বর্তমানে হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে। আজ বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে আহতদের আর্তনাদ সারাদেশে শোনা যাচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও রাজনৈতিক কারণে হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাসের নজির নেই। আজ এখানে আমরা যখন সমাবেশ করছি তখন অনেক মানুষ বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আজও একজন ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়েছে।’
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জীবন্ত মানুষ পোড়ানোর অগ্নিসন্ত্রাসে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারের মানববন্ধন ও দায়ীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল চোরাগোপ্তা হামলা করে অবরোধ ডাকে এবং ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে। তারা কিছু কিছু কর্মীকে নামিয়ে দেয় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে। আর কিছু মানুষকে ভাড়া করে পেট্রোল বোমা হাতে তুলে দেয়। তারা এখন গাড়িতে আগুন দেয়। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত দুই দশকে রাজনীতির জন্য এভাবে আগুন সন্ত্রাস ও মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে নাই। যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত করছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি যারা করে, তারা দেশ জাতি ও সমাজের শত্রু। এই শত্রুদের প্রতিহত করতে হবে। এই সন্ত্রাসের মূল উৎপাটন যদি না করা যায়। তাহলে এই সন্ত্রাস তারা আরও চালাবে। মূল উৎপাটন করতে হলে তাদের অর্থদাতা, মদদদাতা ও হুকুমদাতাদের ধরতে হবে এবং তাদের বিচার করতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একমাসে ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। বেশ কয়েকজন ড্রাইভার নিহত হয়েছে এবং জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এটা কী ধরনের রাজনীতি! আর সমস্ত কিছু পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমান ও বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। সুতরাং তারাও দোষী। অগ্নি সন্ত্রাসের যারা শিকার, তাদের আর্তনাদ ও দাবি অনুযায়ী তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং ভুক্তভোগী খুজেদাতুল নাসরিন, আপিল বিভাগের বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যমল দত্ত প্রমুখ।
এছাড়াও অগ্নিসন্ত্রাসে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।